কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের পর পরিবারে অশান্তি দেখা দেয়। একপর্যায়ে নির্যাতনে স্ত্রীকে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা প্রচার চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কাকারা বটতলী কসাইপাড়া থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মিনার নাহার পুতুমনি (২৮) একই এলাকার মকছুদ আহমদের মেয়ে।

নিহত মিনার নাহারের ভাই মো. দিদার জানান, আট বছর আগে একই গ্রামের ফরিদুল আলমের ছেলে আলাউদ্দিনের সঙ্গে একই এলাকার মিনার নাহারের বিয়ে হয়।

তাদের পরিবারে এক কন্যা ও এক ছেলেসন্তান রয়েছে। বিগত কিছু দিন আগে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ তৈরি হয়। এর মধ্যে আলাউদ্দিন দ্বিতীয় বিয়ে করে বসে। স্বামী অন্যত্র বিয়ে করার কথা শুনে মিনার নাহার পুতুমনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। স্বামী আলাউদ্দিনও প্রায় সময় তাকে মারধর করতেন।

তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমার বোনকে তার স্বামী শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে খুন করেছে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল ৯ টায় স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় মিনার নাহার পুতুমনির ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলেও শুনতে পান তারা।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন জানান, স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছে। ফলে স্ত্রী মিনার নাহার পুতুমনি বাপের বাড়ি চলে যায়। এ নিয়ে পরিষদে বিচার হয়েছে, তারা দুজন সমঝোতায় এসে ফের সংসার শুরু করেন। কিন্তু সন্ধ্যায় শুনলাম তাকে সবাই নির্যাতন করে মেরে মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে!

চকরিয়া থানার এসআই মাঈনউদ্দিন জানান, কাকারা এলাকায় এক গৃহবধূর মৃত্যুর খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। এলাকাবাসী থেকে জানতে পারি, মৃত্যুর আগে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিষক্রিয়া ওয়াশ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করে; কিন্তু অভিভাবকরা সেখানে না নিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেন।

চকরিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত জুয়েল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যায় কাকারা এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত দুদিনে চকরিয়া উপজেলার হারবাং এলাকা থেকে দুই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করার পর আজকে কাকারা এলাকা থেকে অপর গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

 

কলমকথা/সাথী